CWSA Set of 37 volumes
Writings in Bengali and Sanskrit Vol. 9 of CWSA 715 pages 2017 Edition
Bengali
 PDF   

Editions

ABOUT

All writings in Bengali and Sanskrit including brief works written for the newspaper 'Dharma' and 'Karakahini' - reminiscences of detention in Alipore Jail.

Writings in Bengali and Sanskrit

Sri Aurobindo symbol
Sri Aurobindo

All writings in Bengali and Sanskrit. Most of the pieces in Bengali were written by Sri Aurobindo in 1909 and 1910 for 'Dharma', a Calcutta weekly he edited at that time; the material consists chiefly of brief political, social and cultural works. His reminiscences of detention in Alipore Jail for one year ('Tales of Prison Life') are also included. There is also some correspondence with Bengali disciples living in his ashram. The Sanskrit works deal largely with philosophical and cultural themes. (This volume will be available both in the original languages and in a separate volume of English translations.)

The Complete Works of Sri Aurobindo (CWSA) Writings in Bengali and Sanskrit Vol. 9 715 pages 2017 Edition
Bengali
 PDF   

বাংলা রচনা




বেদ ও উপনিষদ




ঈশ উপনিষদ

[১]

ঈশ উপনিষদের সােজা অর্থ গ্রহণ করার এবং তাহার নিহিত ব্রহ্মতত্ত্ব আত্মতত্ত্ব ও ঈশ্বরতত্ত্ব হৃদয়ঙ্গম করার পক্ষে প্রধান অন্তরায় শঙ্করাচার্যের প্রচারিত মায়াবাদ আর এই উপনিষদের উপর শঙ্কর-প্রণীত ভাষ্য ৷ সাধারণ মায়াবাদ নিবৃত্তির একমুখী প্রেরণা ও সন্ন্যাসীর প্রশংসিত কৰ্ম্মবিমুখতার সহিত ঈশ উপনিষদের সম্পূর্ণ বিরােধ, শ্লোকগুলির অর্থকে টানিয়া হিচড়াইয়া উল্টা অর্থ সৃষ্টি না করিলে এই বিরােধের সমাধান করা অসম্ভব ৷ যে উপনিষদে লেখা আছে

কুৰ্বন্নেবেহ কৰ্ম্মাণি জিজীবিষেচ্ছতং সমাঃ

আর লেখা আছে

ন কৰ্ম্ম লিপ্যতে নরে

যে উপনিষদ সাহস করিয়া বলিয়াছে

অন্ধং তমঃ প্রবিশন্তি যে অবিদ্যাম্পাসতে
ততাে ভূয় ইব তে তমাে য উ বিদ্যায়াং রতাঃ ৷

আরও বলিয়াছে

অবিদ্যয়া মৃত্যুং তীৰ্ধা

আর ইহাও বলিয়াছে

সত্যামৃতমণুতে,

সেই উপনিষদের সঙ্গে মায়াবাদ ও নিবৃত্তিপথের মিল হইবে কি প্রকারে? শঙ্করের পরে যিনি দাক্ষিণাত্যে অদ্বৈত মতের প্রধান নিয়ন্তা, সেই বিদ্যারণ্য ইহা বুঝিয়াই এই ঈশকে বারটী প্রধান উপনিষদের তালিকা হইতে নিৰ্বাসন করিয়া তাহারই স্থানে নৃসিংহপনীয় উপনিষদকে বসাইয়া দিয়াছেন ৷ শঙ্করাচার্য্য প্রচলিত বিধানকে উল্টাইয়া সেইরূপ দুঃসাহস করেন নাই ৷ তিনি বুঝিলেন, ইহা শ্রুতি, মায়া শ্রুতির প্রতিপাদ্য তত্ত্ব, অতএব এই শ্রুতির প্রকৃত অর্থও মায়াবাদের অনুকূল ভিন্ন প্রতিকূল হইতে পারে না ৷...1 নিংড়াইলে নিশ্চয় প্রকৃত লুক্কায়িত অর্থ অর্থাৎ মায়াবাদ – যন্ত্রণায় বাধ্য হইয়া বাহির হইয়া আসিবে ৷ এই বিপ্রলব্ধির বশীভূত হইয়া শঙ্করাচাৰ্য্য ঈশ উপনিষদের ভাষ্য প্রণয়ন করিয়াছেন ৷

দেখা যাক একদিকে শাঙ্কর ভাষ্য কি বলে আর অপর দিকে সত্য সত্য উপনিষদই কি বলে ৷ উপনিষৎকার ঈশ্বরতত্ত্ব ও জগত্তত্ত্বকে প্রথমেই পরস্পরের সম্মুখ করিয়া মিলাইয়া এই দুইটীর মূল সম্বন্ধ নির্দেশ করিলেন ৷

ঈশা বাস্যমিদং সৰ্ব্বং যৎ কিঞ্চ জগত্যাং জগৎ

ইহার সােজা অর্থ “ঈশ্বরের বাস করিবার অর্থে এই সকল বিদ্যমান, যাহা কিছু জগতীর মধ্যে জগৎ” অর্থাৎ গমনশীলার মধ্যে গমনশীল ৷ ইহা সহজে বােঝা যায় যে ব্রহ্মবিকাশে দুইটী তত্ত্ব প্রকটিত হয়, স্থাণু ও জগতী, নিশ্চল সৰ্বব্যাপী নিয়ামক পুরুষ ও গমনশীলা প্রকৃতি, ঈশ্বর ও শক্তি ৷ স্থাণুকে যখন ঈশ্বর নাম দেওয়া হইয়াছে, তখন বুঝিতে হইবে যে পুরুষ ও প্রকৃতির সম্বন্ধ এই হয় যে জগতী ঈশ্বরের অধীন, তাহা দ্বারা নিয়ন্ত্রিত, তাহার ইচ্ছায় প্রকৃতি সকল কর্ম করেন ৷ এই পুরুষ শুধু সাক্ষী ও অনুমন্তা নয়, জ্ঞাতা ঈশ্বর, কৰ্ম্মের নিয়ন্তা, প্রকৃতি কৰ্ম্মের নিয়ন্ত্ৰী নহে, নিয়তি মাত্র, কী বটে কিন্তু কৰ্ত্তার অধীনে, পুরুষের ৷ আজ্ঞাবহ হইয়া তাহার কার্যকারিণী শক্তি ৷

তাহার পর ইহাও দেখা যায় যে এই জগতী শুধু গমনশীলা শক্তি, শুধু জগকরণস্বরূপ তত্ত্ব নয়, সে জগক্সপেও বর্তমান ৷ জগতী শব্দের সাধারণ অর্থ পৃথিবী, তবে এখানে তাহা খাটে না ৷ “জগত্যা জগৎ” এই দুই শব্দের সংযােগে উপনিষৎকার ইঙ্গিত করিয়াছেন যে দুইটীর ধাতুগত অর্থ এখানে উপেক্ষণীয় নহে, তাহার উপর জোর দেওয়াই তাহার উদ্দেশ্য ৷ এই ধাতুগত অর্থ গমন বা গতি ৷

জগতী যদি পৃথিবীই হয়, তাহা হইলে বুঝিতে হইবে, এই সকল যাহা কিছু গমনশীলা পৃথিবীতে গমনশীল হয়, অর্থাৎ যত মনুষ্য, পশু, কীট, পাখী, নদ, নদী ইত্যাদি ৷ এই অর্থ বড় অসম্ভব ৷ উপনিষদের ভাষায় সমিদম্ শব্দে সৰ্ব্বত্রই জগতের যাবৎ বস্তু লক্ষিত হয়, পৃথিবী নয় ৷ অতএব জগতী শব্দে বুঝিতে হইবে রূপে প্রকটিত গমনশীলা শক্তি, জগৎ শব্দে যত কিছু প্রকৃতির গতির একটী গতি হয় প্রাণীরূপে অথবা পদার্থরূপে বিদ্যমান ৷ বিরােধ হয় ঈশ্বর ও জগতের যা কিছু, এই দুইটীর মধ্যে ৷ যেমন ঈশ্বর স্থাণু, প্রকৃতি বা শক্তি গমনশীলা, সৰ্ব্বদা কর্মে ও জগৎব্যাপী গতিতে ব্যাপৃত, সেইরূপ জগতে যাহা কিছু আছে ৷ তাহাও গতির একটী ক্ষুদ্র জগৎ, তাহাও সৰ্ব্বদাই প্রতি মুহূর্তে সৃষ্টি-স্থিতি-প্রলয়ের সন্ধিস্থল, চঞ্চল, নশ্বর, স্থাণুর বিপরীত ৷ একদিকে ঈশ্বর, একদিকে পৃথিবী ও পৃথিবীতে যাহা কিছু জঙ্গম, ইহাতে সেই নিত্য বিরােধ ফুটে না ৷ একদিকে স্থাণু ঈশ্বর, অপরদিকে চঞ্চলা প্রকৃতি ও তাহার সৃষ্ট জগতের মধ্যে প্রকৃতির গতিকৃত যাহা কিছু আছে, – যাবতীয় অস্থায়ী বস্তু, এই সৰ্বজনলক্ষিত নিত্যবিরােধ লইয়া উপনিষদের আরম্ভ ৷ এই বিরােধের সমাধান কোথায়? এই দুই তত্ত্বের পূর্ণ সম্বন্ধ বাকি ৷

এই বিরােধ ও তাহার সমাধানের উপর সমস্ত উপনিষদ গঠিত ৷ পরে ঈশ্বর কি আর জগৎ কি তাহার বিচার করিতে গিয়া উপনিষৎকার তিনবার তাহাই অন্যপ্রকারে উত্থাপন করিয়াছেন ৷ প্রথম ব্রহ্মের বেলায় পুরুষ ও প্রকৃতির বিরােধ অনৈজ একং মনসাে জবীয়ঃ... তদ এজতি তন্নৈজতি – এই কয়টী শব্দে তিনি বুঝাইয়াছেন যে দুইটী ব্রহ্ম, পুরুষও ব্রহ্ম, প্রকৃতি আর প্রকৃতিরূপী জগৎও ব্রহ্ম ৷ তাহার পর আত্মার কথায়, ঈশ্বর ও যাহা কিছু জগতের তাহাদের বিরােধ ৷ আত্মাই ঈশ্বর, পুরুষ...


[২]

ঈশ উপনিষদ পূর্ণযােগ-তত্ত্ব ও পূর্ণ আধ্যাত্মসিদ্ধি-পরিচায়ক, অল্পেতে বহু সমস্যা সমাধানকারী, অতি মহৎ অতল গভীর অর্থে পরিপূর্ণ শ্রুতি ৷ আঠার শ্লোকে সমাপ্ত কয়েকটী ক্ষুদ্রাকার মন্ত্রে জগতের ততােধিক মুখ্য সত্য ব্যাখ্যাত ৷ এইরূপ ক্ষুদ্র পরিসরে অনন্ত অমূল্য সম্পত্তি – infinite riches in a little room – শ্রুতিতেই পাওয়া যায় ৷

সমন্বয়-জ্ঞান সমন্বয়-ধৰ্ম্ম, বিপরীতের মিলন ও একীকরণ এই উপনিষদের প্রাণ ৷ পাশ্চাত্য দর্শনে একটী নিয়ম আছে যাহাকে Law of contradiction বলে, বিপরীতের পরস্পর বহিষ্করণ বলা যায় ৷ দুইটী বিপরীত সিদ্ধান্ত একসঙ্গে টিকিতে পারে না, মিলিত হইতে পারে না, দুইটী বিপরীত গুণ এক সময়ে এক স্থানে এক আধারে এক বস্তুর সম্বন্ধে যুগপৎ সত্য হইতে পারে না ৷ এই নিয়ম অনুসারে বিপরীতের মিলন ও একীকরণ হইতেই পারে না ৷ ভগবান যদি এক ৷ হন, তিনি হাজার সর্বশক্তিমান হউন বহু হইতে পারেন না ৷ অনন্ত কখন সান্ত হয় না ৷ অরূপের রূপ হওয়া অসাধ্য, যে সরূপ হইল তাহার অরূপত্ব বিনষ্ট হয় ৷ ব্রহ্ম যে এক সময়েই নির্গুণ ও সগুণ, উপনিষদ যেমন ভগবানের সম্বন্ধে বলে যে তিনি “নিগুণে গুণী”, এই সিদ্ধান্তকেও এই যুক্তি উড়াইয়া দেয় ৷ ব্রহ্মের নির্ণত্ব, অরূপত্ব, একত্ব, অনন্তত্ব যদি সত্য হয়, তাহার সগুণত্ব, সরূপত্ব, বহুত্ব, সান্ততা মিথ্যা, “ব্ৰহ্ম সত্যং জগন্মিথ্যা” মায়াবাদীর এই সৰ্ব্বধ্বংসী সিদ্ধান্ত এই দার্শনিক নিয়মের চরম পরিণতি ৷ ঈশ উপনিষদের দ্রষ্টা ঋষি প্রতিপদে এই নিয়মকে দলন করিয়া প্রতি শ্লোকে তাহার যেন অসারত্ব ঘােষণা করিয়া বৈপরীত্যের মধ্যে বিপরীত তত্ত্বের গুপ্ত হৃদয়ে মিলন ও একীকরণের স্থান বাহির করিয়া চলিতেছেন ৷ গতিশীল জগৎ ও স্থাণু পুরুষের একত্ব, পূর্ণ ত্যাগে পূর্ণ ভােগ, পূর্ণ কর্মে সনাতন মুক্তি, ব্রহ্মের গতির মধ্যেই চিরস্থাণুত্ব, চিরন্তন স্থাণুত্বে অবাধ অচিন্ত্য গতি, অক্ষর ব্রহ্ম ও ক্ষর জগতের একত্ব, নিগুণ ব্রহ্ম ও সগুণ বিশ্বপুরুষের একত্ব, যেমন অবিদ্যায় তেমন বিদ্যায় পরম অমরত্ব লাভের অভাব, যুগপৎ বিদ্যা অবিদ্যা সেবনে অমরত্ব, জন্মচক্রঘুরণেও নয়, জন্মবিনাশেও নয়, যুগপৎ সস্তৃতি ও অসভৃতির সিদ্ধিতে পরম মুক্তি ও পরম সিদ্ধি, এইগুলিই উপনিষদের উচ্চকণ্ঠে প্রচারিত মহাতথ্য ৷

দুর্ভাগ্যবশতঃ উপনিষদের অর্থ লইয়া অনর্থক গােল করা হইয়াছে ৷ শঙ্করাচার্য্য উপনিষদের প্রধান প্রায়ই সর্বজনস্বীকৃত টীকাকার, কিন্তু এই সকল সিদ্ধান্ত যদি গৃহীত হয়, শঙ্করের মায়াবাদ অতল জলে ডুবিয়া যায় ৷ মায়াবাদের প্রতিষ্ঠাতা দার্শনিকদের মধ্যে অতুল্য অপরিমেয় শক্তিশালী ৷ যমুনানদী স্বপথত্যাগে অনিচ্ছুক হওয়ায় তৃষিত বলরাম যেমন লাঙ্গলাকর্ষণে তাহাকে টানিয়া হিচড়াইয়া চরণপ্রান্তে হাজির করিয়া দিলেন, শঙ্করও গন্তব্যস্থলের পথে এই মায়াবাদনাশী উপনিষদকে পাইয়া তাহার অর্থ টানিয়া হিচড়াইয়া স্বমতের সহিত মিলাইয়া ছাড়িয়া দিয়াছেন ৷ তাহাতে উপনিষদের কি দুর্দশা হইয়াছে, দুয়েকটী দৃষ্টান্তে বােঝা যায় ৷ উপনিষদে বলা আছে যাহারা একমাত্র অবিদ্যাকে উপাসনা করে, তাহারা ঘাের অন্ধকারে পতিত হয়, আবার যাহারা একমাত্র বিদ্যাকে উপাসনা করে, তাহারা যেন আরও গাঢ় অন্ধকারে প্রবেশ করে ৷ শঙ্কর বলেন, বিদ্যা ও অবিদ্যা এই স্থলে সাধারণ অর্থে আমি বুঝিব না, বিদ্যার অর্থ এখানে দেববিদ্যা ৷ উপনিষদে বলা আছে, “বিনাশেন মৃত্যুং তীৰ্বা সত্যা মৃতমতে”, অসভৃতি দ্বারা মৃত্যুকে জয় করিয়া সভৃতি দ্বারা অমরত্ব ভােগ করিব ৷ শঙ্কর বলেন, পড়িতে হয় “অসত্যা মৃতং”, বিনাশের অর্থ এখানে জন্ম ৷ দ্বৈতবাদী একজন টীকাকার ঠিক এইভাবে “তত্ত্বমসি” কথা পাইয়া বলেন, “অতৎ ত্বমসি” পড়িতে হইবে ৷ শঙ্করের পরবর্তী একজন প্রধান মায়াবাদী আচাৰ্য্য অন্য উপায় অবলম্বন করিয়াছেন, ঈশ উপনিষদকে মুখ্য প্রমাণস্বরূপ উপনিষদের তালিকা হইতে বহিস্কৃত করিয়া নৃসিংহপনীয়কে তাহার স্থলে প্রমােট করিয়া চরিতার্থ হইলেন ৷ বাস্তবিক এইরূপ গায়ের জোরে স্বমত ৷ স্থাপনের প্রয়ােজন নাই ৷ উপনিষদ অনন্ত ব্রহ্মের অনন্ত দিক, কোন একমাত্র দার্শনিক মতের পরিপােষক নয় দেখায় বলিয়া সহস্র দার্শনিক মত এই এক বীজ হইতে অঙ্কুরিত হইয়াছে ৷ প্রত্যেক দর্শন অনন্ত সত্যের এক একটী দিক বুদ্ধির সম্মুখে শৃঙ্খলিতভাবে উপস্থিত করে ৷ অনন্ত ব্রহ্মের অনন্ত বিকাশ, অনন্ত ব্রহ্মে পৌঁছিবার পথও অগণ্য ৷


[৩]

প্রাচীন শ্রৌতগ্রন্থের মধ্যে অল্পেতে বহু মুখ্যতত্ত্বপরিচায়ক শ্রুতি পূর্ণযােগের তত্ত্ব সমর্থক পাই এই ঈশ উপনিষদে ৷ ঈশ উপনিষদে লক্ষ্য ও পথ সমন্বয়সিদ্ধি ও সমন্বয়ধৰ্ম্মের উপর প্রতিষ্ঠিত ৷ ঋষিদৃষ্টি এখানে জগতের প্রধান প্রধান যত বৈপরীত্য লইয়া প্রত্যেক বিরােধের অতলে তলাইয়া সেই বিরােধের মধ্যে মিলন ও একীকরণের গভীর তত্ত্বস্থলে পৌঁছিয়াছে ৷ আর আর উপনিষদে অনন্তজ্ঞানের একদিক ধরিয়া ব্রহ্মের ব্যাখ্যা পাই, এইটাই সব দিক দেখিয়া আঠার শ্লোকের অল্প পরিসরে ব্রহ্মের পূর্ণ স্বরূপের পূর্ণ ব্রহ্মপ্রাপ্তির পথের পূর্ণ ব্যাখ্যা কয়েকটী মাত্র গভীর উদার মন্ত্রে শেষ করিয়াছে ৷ অবশ্যই সংক্ষেপে ৷ অনন্তের দিক খুঁটিনাটি সত্যের সূৰ্য্যের সহস্ৰকিরণময় অশেষ পরিস্ফুরণ এখানে পাওয়া যায় না ৷ নিতান্তই যাহা আসল প্রয়ােজনীয় অপরিবর্জনীয় ৷









Let us co-create the website.

Share your feedback. Help us improve. Or ask a question.

Image Description
Connect for updates